ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

চকরিয়ায় মাদার ট্রি গর্জন নিধন

জহিরুল ইসলাম, চকরিয়ায় :
চকরিয়ায় কিছু বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাদার ট্রি গর্জন (মা গর্জন গাছ) নিধন করা হচ্ছে। গর্জন বাগানের ভেতরে অবৈধ বসবাসকারী ও বন জায়গিরদারেরা এ ঘটনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বড়বড় মাদার ট্রি গর্জন নিধন প্রক্রিয়া চলে আসায় বনাঞ্চল মাদার ট্রি শুন্য হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও ফুলছড়ি রেঞ্জের বিভিন্ন বনবিটে বড়বড় মাদার ট্রি গর্জন বাগান রয়েছে। এসব মাদার ট্রি গর্জন গুলোর বয়স দড়শত থেকে দুইশত বছর হবে। মাদ্রার ট্রি গর্জনের বীজ থেকে এতদাঞ্চলের বনাঞ্চলে নতুন নতুন বাগান সৃষ্টি করা হয়। ওই গাছ গুলো থেকে বীজ পড়ে প্রাকৃতিকভাবেও বনাঞ্চল সৃষ্টি হয়ে থাকে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়; ফুলছড়ি রেঞ্জর খুটাখালী ন্যাশলাল পার্কে কয়েক হাজার বড়বড় মাদার ট্রি গর্জন রয়েছে। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ফাঁসিয়াখালী রিংভং, নলবিলা, কাকারা, ডুলাহাজরা বনবিটেও রয়েছে গর্জন বাগান। এসব বাগানের ভেতরে ও আশেপাশে রয়েছে বন জায়গিরদারদের বসবাস। বন জায়গিরদার ছাড়াও রয়েছে অবৈধ বসতি। বন জায়গিরদার ও অবৈধ বসবাসকারীরা উভয়ে কিছু বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাদার ট্রি গর্জন নিধনে মেতে উঠেছে। তারা মাদার ট্রি গর্জন গুলোর গোড়ায় গর্ত কুড়ে লবণ দিয়ে, গাছের বাকল তুলে নিয়ে, গাছের আগা কেটে ফেলে ও গাছের গোড়ায় দাও দিয়ে প্রতিদিন ক্ষতবিক্ষত করে দেয়া হয়। ওই গাছগুলো এক পর্যায়ে মরে যায়। গাছ মরে যাওয়ার পর সুবিধাজনক কোন এক সময় গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দেয়া হয়। এ ধরণের একেকটি মাদার ট্রি গর্জনের মূল্য লক্ষাধিক টাকা। স্থানীয়রা জানায়, এ প্রক্রিয়ায় গাছগুলো নিধন শুধুই যে টাকার জন্য করা হয় তা নয়, গাছগুলো না থাকলে সেখানে নির্বিঘেœ ঘর তোলা যায়। গাছ না থাকলে বনকর্মীদেরও সেদিকে যাতায়ত থাকে না। এ প্রক্রিয়ায় গাছ নিধনে কিছু আসাধু বনকর্মীদেরও যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদার ট্রি গর্জন নিধনের এ প্রক্রিয়ায় খুটাখালী ন্যাশনাল পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রিংভং বনবিট, ডুলাহাজরা বনবিটের মালুমঘাট, ডুমখালী, সোয়াজানিয়া এলাকার বড়বড় গাছগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। এভাবে গত কয়েক বছরে শতশত মাদার ট্রি গর্জন উজাড় হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান এ প্রক্রিয়ায় গাছ নিধনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা তাদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি। তবে এখানে এ প্রক্রিয়ায় গাছ নিধন খুব বেশী চোখে পড়ছে নয়।

পাঠকের মতামত: